৩০ লক্ষ শহীদের আত্মত্যাগ আর ২ লাখ মা বোনের সম্মানের বিনিময়ে আমাদের অর্জন স্বাধীন বাংলাদেশ। বাংলাদেশের মুক্তিযদ্ধের প্রকৃত বীর সাধারণ জনগণ। তারাই ৫৬ হাজার বর্গমাইলের ভেতরে থেকে কোমরে গামছা বেধে যুদ্ধ করেছিলো আমরণ। পাকিস্তানের শোষন দুঃশাসন জুলুম আর লাঞ্চনার হাত থেকে মুক্তি পেতে এইসব স্বাধীনতাকামী মানুষ শুনতে চেয়েছিলো স্বাধীনতার ডাক।
বাস্তবতা হলো, সেসময় বাংলার জনগণের এই প্রাণের আকুতি বুঝতে ব্যার্থ হয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মুজিব। স্বাধীনতার জন্য উত্তাল বাংলার মানুষকে একটি হরতাল উপহার দিয়ে তিনি ৭১ এর ২৫ মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানী বাহিনীর কাছে স্বেচ্ছাসমর্পন করেন। এমনি এক দিকনির্দেশনাহীন ঘোর সংকটে দৃশ্যপটে আসেন তরুণ সাহসী বীর মেজর জিয়াউর রহমান। চট্টগ্রামের কালুরঘাট থেকে প্রথম নিজেকে তিনি রাষ্ট্রপতি হিসেবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। স্বাধীনতার পরম আকাংখিত ঘোষণাটির অপেক্ষায় ছিলো স্বাধীনতাকামী জনগণ। জিয়াউর রহমান শুধু স্বাধীনতার ঘোষণাই দেননি। অস্ত্র হাতে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সম্মুখ সমরে বীরের মত লড়াই করে ছিনিয়ে এনেছেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা।
এখন কেউ কেউ জিয়াউর রহমানের ভুমিকা নিয়ে কুট মন্তব্য করেন। যেইসব ব্যাক্তি মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের ভ’মিকা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টির প্রয়াস পান এদের অনেকেই মুক্তিযুদ্ধের ময়দানে ছিলেন অনুপস্থিত। মহান মুক্তিযুদ্ধের নয়মাসে এদের অনেকেই ছিলেন বাংলাদেশের ৫৬ হাজার বর্গমাইলের বাইরের সীমানায় কিংবা শত্রুর দৃষ্টির আড়ালে ঘরের চারদেয়ালে অথবা আপসকামীর ভুমিকায়। নিজেদের গৌরবহীন অতীত আড়াল করতে এরাই এখন ইতিহাস বিকৃতির খেলায় মত্ত। ইতিহাস বহমান, চলমান। বিকৃতির আড়ালে সুবিধাবাদীরা ইতিহাসের গতিরোধের অপচেষ্টা করলেও সময়ের সাথে ইতিহাস সত্যটা খুজে নেয়।
এই ওয়েবসাইটে ইতিহাসের আলোকে মহান মুক্তিযুদ্ধে মেজর জিয়াউর রহমানের ভুমিকা তথ্য প্রমানসহ উপস্থাপন করা হয়েছে। আদালতের রায় নয় কিংবা ক্ষমতার জোরে নয়, প্রকৃত সত্য উদ্ভাসিত হতে থাকবে ইতিহাসের আলোয়।